ইতিহাস তৈরির মঞ্চে নায়ক মুশফিক


উইকেটের একপাশে যখন যাওয়া আসার মিছিল, ঠিক তখনই স্রোতের বিপরীতে দাড়িয়ে দলকে নিয়ে যান ইতিহাস গড়ার মঞ্চেে। যে মঞ্চে নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ  হয় মুশফিকুর রহিম। স্ট্রাইক রোটেট করা এবং মাত্র  এক বাউন্ডারিতে হাফসেঞ্চুরি এসবই তার ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রমাণ। তিনি যে একজন টেকনিক্যালি সাউন্ড ব্যাটসম্যান তা প্রমাণ করে চলেছেন ধারাবাহিকভাবে।


বাংলাদেশের এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তুলেন বাংলাদেশকে। টেনে তোলার মধ্যদিয়ে রচনা করেছেন কাব্য, এক একটি বাইন্ডারিসহ সকল রান যেন এক একটি কবিতা। যা লঙ্কা বধের কাব্যের অন্তর্ভুক্ত। জয়ের ভিত্তি মজবুত করার সাথে সাথে তুলে নেন ১২৫ (১২৭) রানের ইতিহাস সৃষ্টিকারী সেঞ্চুরিটি। সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ম্যাচ সেরার পুরুষ্কার উঠে মুশফিকের হাতে।


ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ রানে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ ৭৪ রানে হারায় ৪ উইকেট। পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ৮৭ রানের জুটি গড়ার মাধ্যমে প্রাথমিক বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তুলেন মুশফিকুর রহিম। 


আবার ২৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে দূর্গ তৈরি করেন জাতীয় দলের উইকেটপিকার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তার সেঞ্চুরির উপর ভর করে শেষ পর্যন্ত ৪৮ ওভারে ২৪৬ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে ১২৭ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ১২৫ রান করেন মুশফিক। এছাড়া ৪১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ২৫ রান করেন লিটন দাস।

Post a Comment

0 Comments