হাসারাঙ্গার ব্যাটিং ভয় ধরাতে পারেনি মিরাজদের

মেহেদীর ৪ উইকেট সংগ্রহ।
ছবি: ক্রিকবাজ


তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তার মুখে নিজের বোলিং পরিকল্পনা বদলাননি মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশীদের মধ্যে বোলিংয়ে ওডিআই  র‍্যাংকিংয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা বোলারটি চেষ্টা করেছেন রান আটকানোর,ব্যাটসম্যানদের ধরে রাখার। এই অফ স্পিনার নিজের পরিকল্পনায় সফলও হয়েছেন। গত রবিবারের (মে ২৩) জয়ে যার অবদান ছিল উল্লেখ করার মতো।


৩০ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার মধ্যদিয়ে গুড়িয়েছেন লঙকানদের টপ অর্ডার এবং বাংলাদেশকে রেখেছিলেন জয়ের পথেই। ২৫৭/৬, জয়ের রান এইটা প্রমাণে মিরাজ ছিলেন একদমই নিবেদিত। সহায়তা করেছেন বাংলাদেশকে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১০ ম্যাচ পর।


মিরাজ রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান লঙ্কা বধে। সে পাওয়ার প্লেতে দানুশকা গুনাথিলাকাকে ফিরান রিটার্ন ক্যাচের মাধ্যমে। এরপর কুশাল পেরেরা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে বোল্ড করার মাধ্যমে চাপে রাখেন শ্রীলঙ্কাকে। আবার, মিডল ওভারে এসে বানদারাকে বোল্ড করার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন।


ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলছিলেন, "আমরা চেষ্টা করছিলাম রান আটকানোর জন্য এবং ডটবল করার জন্য। কারণ যদি ব্যাটসম্যানরা চাপে পড়ে ভুল করে সেখান থেকে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।"


"আমি নেটে বল করছিলাম এবং দেশী কোচারদের সাথে যোগাযোগ রাখছিলাম, তাদের পরামর্শ নিচ্ছিলাম। তাছাড়া ফাহিম স্যার তিন-চারদিন আগে আমাকে ডেকে বলছিলেন বোলিংয়ের গাইডলাইন এবং নানাক্ষেত্র সম্পর্কে", মিরাজ বলছিল আত্মবিশ্বাসী জয়ের পর গণমাধ্যমে। যদিও ৬০ বলে ৭৪ রান করা হাসারাঙ্গা চোখ রাঙাচ্ছিলেন তাদের সেই জয়ের পথে।


"হাসারাঙ্গা দারুণ ব্যাট করছিলেন, দারুণ কিছু শট খেলছিল কিন্তু আমরা বিশ্বাস করছিলাম যে একটা উইকেটের পতনই আমাদের ম্যাচে ফেরাবে। শুধুমাত্র আমাদের এই বিশ্বাসটাই ছিল যে, এই জুটির পর কোনো ব্যাটসম্যান নেই ওদের, যা ওদের স্বীকৃত ব্যাটসম্যানের শেষ জুটি।"


দ্বিতীয় ওডিআই এই শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে।

 

Post a Comment

0 Comments