হতাশার আঁধার ঠেলে সামনে এগিয়ে মাহমুদউল্লাহ


মাহমুদউল্লাহর হাসিমুখ এমনিতেই খুব কম সময় দেখা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে তার হাসি না দেখার যথেষ্ট কারণই রয়েছে, তিনি টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন এবং বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন সকল ফরম্যাটেই। তার উপর টি-টোয়েন্টি দলের বর্তমান অধিনায়ক হলেও দল সফল হচ্ছে না। যার ফলে ব্যাপক সমালোচিত হতে হয়। মাহমুদউল্লাহর সর্বশেষ হাতাশার তালিকায় যুক্ত হয়েছিল কাঁধের ইঞ্জুরি যার ফলে বোলিং থেকে ছিলেন বিরত যা তার হতাশাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল আরো বেশি।


২৭ মে (বৃহঃস্পতি বার) গণ মাধ্যমের সামনে তাকে দেখা গেল হাসিমুখে। তার হাসিমুখ দেখে মনে হচ্ছে সকল হতাশা থেকে তিনি বের হয়ে আসছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে কিভাবে সে তার করোনাকালীন অবসর সময়গুলো কাজে লাগিয়েছেন। ছুটির সময় গুলো সে তার ব্যাটিংকে আরো বেশি পরীশিলিত করতে নেটে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। 


টেস্ট দলে ফিরে আসার জন্য পুরোদমে বোলিংও শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুটি ম্যাচেই খেলেছেন ম্যাচ বাঁচানিয়া লড়াকু ইনিংস। প্রদর্শন করেছেন তার ব্যাটিং দক্ষতা, তার দৃঢ় মানসিকতা যা একজন টেস্ট খেলোয়ারের জন্য আবশ্যক। 


সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বলছিলেন, "আমি একজন বোলার হিসেবেও ফিরে এসেছি, দলের যখন কাজে লাগবে আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব।" তিনি স্বীকার করেছেন সাম্প্রতিক সময়ের কঠোর প্রচেষ্টার ফল পাচ্ছেন।


অতিরিক্ত অনুশীলন অবশ্যই ভালো ফল করতে সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ম্যাচ শুরুর পূর্বের অনুশীলন আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 


বাংলাদেশে ব্যাটিং দূর্যোগের এই কান্ডারি ব্যাটসম্যান মনে করেন সে তার ক্যারিয়ারের যেকোনো মুহুর্তের চেয়ে সর্বোচ্চ ফিটনেসে আছেন। তিনি ফিটনেস নিয়ে কাজ করা গত কয়েক বছরের ফল পাচ্ছেন। শরীর ফিট রাখার জন্য যতটা চেষ্টা করা যায় তাই করছেন  মাহমুদউল্লাহ। সে এও বলেছেন তার খেলার ধরণে কোনো পরিবর্তন করেন নাই।


"লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করে ৩০-৪০ রান যুক্ত করার মাধ্যমে দলের জন্য অবদান রাখতে চাই। ম্যাচ সিচুয়েশন অনুযায়ী ব্যাট করতে চাওয়া আমার", বলছিলেন মাহমুদউল্লাহ। 


দলে পারফর্মার বাড়ানোর জন্য জুনিয়র সতীর্থদের নানা সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন, শেয়ার করতেছেন নিজের অভিজ্ঞতা।




 

Post a Comment

0 Comments