ওরা চারজন থেকে কবে বের হবে বাংলাদেশ?


 

বাংলাদেশ, লিটন দাসদের যে প্রতিশ্রুতির জন্য ম্যাচের পর ম্যাচ সুযোগ দিয়ে যাচ্ছেন তা কি তারা আদৌ পূরণ করতে পারবে। লিটন দাস, মিথুন আলী, মোসাদ্দেক সৈকতরা প্রতিশ্রুতিশীল কালে ভদ্রে জ্বলে উঠে পারফর্ম করেন ঠিকই। কিন্তু, নেই কোনো ধারাবাহিকতা। বাংলাদেশের এই নতুন নাবিকেরা কবে, কোন ম্যাচে জয়ের বন্দরে দলকে নোঙর করাবেন তা জানা নেই নেটাগরিকদের। তাই নেট দুনিয়ায় সমালোচনা উঠে প্রতিটা ম্যাচের পরই ব্যাটিংয়ে আবারো সেই চার।  


মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহরা ভালো ব্যাটিং করলে দল জয় পায়, তারা ফ্লপ হলে দলও ফ্লপ। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অতীতে সকল ম্যাচে ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে সেই চার জন। বাংলাদেশ ভীষণভাবে আশাবাদী এই চারজনের মতো দলের জয়ের ভূমিকায় অন্যরাও ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখাক। এমনকি দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও মাহমুদউল্লাহ এবং রহিমের অভিজ্ঞ জুটিই চার উইকেটে ৭৪ রানের ব্যাটিং ধ্বসের পর লড়াই করে লড়াকু একটা জায়গায় নিয়ে যায়।


বোলিংয়ে মেহেদী হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এবং সাকিবরা সবাই ভালো করছেন। ঘরের মাঠে তো মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে ইনিংস শুরু করানোর মধ্যদিয়েও সফল হচ্ছেন। মেহেদী হাসান মিরাজ বাংলার বোলিং ইউনিটের নিয়মিত পারফর্মার যার প্রতিফলন ওয়ানডে বোলিং র‍্যাংকিংয়ে ২ নম্বরে উঠে আসা। মুস্তাফিজ চ্যাম্পিয়ন বোলার যার রয়েছে বোলিংয়ে বিশাল বৈচিত্র্যময় ভান্ডার। দ্যা ফিজ আইপিএল থেকেই রয়েছেন ছন্দে।


তাহলে বুঝা যাচ্ছে আপাতত বোলিংয়ে সমস্যা খুবই কম। যত সমস্যা ওই ব্যাটিং ইউনিট নিয়ে বিশেষভাবে বললে নতুনদের থেকে প্রত্যাশিত পারফর্মেন্স না পাওয়া। বেশি করে জয়ধ্বনি শোনার জন্য, নতুনদেরও ব্যাট দিয়ে কেতন উড়াতে হবে। তাহলেই উড়ে যাবে বাংলার ক্রিকেট আকাশের কাল বৈশাখী ঝড়।


Post a Comment

0 Comments