মুশফিকের ব্যাটে জয়ের ভিত্তি

অর্ধশতকের পর মুশফিক এবং মাহমুদউল্লাহর উদযাপন 

বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সলিড টেকনিক ব্যাটসম্যান ভাবা হয় মুশফিকুুুর রহিমকে, এই কথাটার যথার্থতাও প্রমান করে চলেছেন তিনি প্রায় ধারাবাহিক ভাবে। আরেকটু সহজ বাংলায় বাংলার ক্রিকেটের  অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ। 
 

বাংলাদেশের ইনিংসকে ২৫৭/৬ পৌছুতে মুশফিকুর রহিমের ৮৪ রানের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি সময়োপযোগী। শুধুমাত্র ৮৪ রান দিয়ে মূল্যায়ন করা যাবে না তার এই ইনিংসটিকে। চাপের মুখে কিভাবে স্ট্রাইক রোটেট করতে হয় এবং রানের চাকা সচল রাখা যায় তা করে দেখিয়েছেন এই ম্যাচে মুশফিকুর রহিম।

ইনিংসের বয়স যখন মাত্র দ্বিতীয় ওভার ঠিক তখনই লিটন দাসের পতন। যা পাওয়ার প্লেতে রান উঠানোটা কঠিন করে দেয় বাংলাদেশকে। সাকিব আল হাসান তিন নম্বরে নেমে পেসারদের বিরুদ্বে পজিটিভ আচরণ দেখালেও,স্পিনারদের বিরুদ্ধে ছিলেন প্রায় অসহায়। অধিনায়ক তামিম ইকবাল সতর্কতার সাথে ব্যাট করে তুলে নেন ফিফটি যা দলকে রান সংগ্রহের পথ দেখায়। সে সময় মুশফিকুর রহিম কিছু ডাবল স্ট্রাইকের মাধ্যমে তৈরী করেন রান সংগ্রহের ইতিবাচক আবহ। যদিও ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ওভারগুলো বাংলাদেশকে এক্সট্রা সতর্কতার সহিত মোকাবেলা করতে হয়।


এরপরের গল্পটা মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহময় যেখানে দুজনে জুটিতে আসে ১০৯ রানের ম্যাচ জেতানোর রান। এই ম্যাচে মুশফিকুর এবং মাহমুদউল্লাহর জুটিই বাংলার ইনিংসের ত্রাতা। যখন মুশফিকুর রহিম স্পিনারদের বিরুদ্বে চড়াও হচ্ছিলেন,ঠিক তখন মাহমুদউল্লাহ সমর্থন করে যাচ্ছিলেন মুশফিককে।

শেষের দিকটাতে আফিফ এবং সাইফুদ্দিনের ক্যামিও নিশ্চিত করে লাস্ট দুই ওভারে ২৪ রান তুলতে। প্রথম ইনিংস শেষে যা ছিল ২৫৭ রান। এই স্লো পিচে লংকা বধের জন্য ছিল যথেষ্ট সংগ্রহ।

Post a Comment

0 Comments