বলে, ব্যাটে তৈরি হলো বাংলার নতুন ইতিহাস


ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে কাব্যিক সেঞ্চুরির মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের উপলক্ষ এনে দিল মি. ডিপেন্ডেবল। মুশফিকের সেঞ্চুরি এবং বোলিংয়ে মেহেদী মিরাজ,সাকিব,মুস্তাফিজদের দারুণ নৈপুণ্যে ইতিহাস গড়লো হোম অফ ক্রিকেট, শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুরে। ৮ সিরিজ পর প্রথমবারের মতো লঙ্কানদের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় করলো বাংলার দামাল ছেলেরা।



টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু দিকেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ রানে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ ৭৪ রানে হারায় ৪ উইকেট। পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ৮৭ রানের জুটি গড়ার মাধ্যমে প্রাথমিক বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তুলেন মুশফিকুর রহিম। 


আবার ২৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে দূর্গ তৈরি করেন জাতীয় দলের উইকেটপিকার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তার সেঞ্চুরির উপর ভর করে শেষ পর্যন্ত ৪৮ ওভারে ২৪৬ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে ১২৭ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ১২৫ রান করেন মুশফিক। এছাড়া ৪১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ২৫ রান করেন লিটন দাস।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসানদের স্পিন বিষে নীল হয়ে ৩৮ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান করে শ্রীলঙ্কা। এরপর শুরু হয় বৃষ্টি।

বৃষ্টির কারণে ৩৩ মিনিট পর খেলা শুরু হওয়া ম্যাচ গড়ায় কার্টল ওভারে। ডিএল মেথডে শ্রীলঙ্কার টার্গেট দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ২৪৫। কার্টল ওভারে শেষ দুই ওভারে ১৫ রান করে ১৪১ রানে ইনিংস গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন ওপেনার ধানুশকা গুনাথিলাকা। ২০ রান করেন পাথুম নিশাঙ্কা।

বাংলাদেশ দলের হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান ৩টি করে উইকেট নেন। দুই উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৮ ওভারে ২৪৬/১০ (মুশফিক ১২৫, মাহমুদউল্লাহ ৪১, লিটন ২৫)।
শ্রীলংকা: ৪০ ওভারে ১৪১/৯ (গুনাথিলাকা ২৪, নিশাঙ্কা ২০; মিরাজ ৩/২৮, মুস্তাফিজ ৩/১৬, সাকিব ২/৩৮)।
ফল: বাংলাদেশ বৃষ্টি আইনে ১০৩ রানে জয়ী।  

এক ম্যাচ হাতে রেখেই, তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০তে জিতল টাইগাররা।

Post a Comment

0 Comments