চিকিৎসকরাই ম্যারাডোনার খুনী!


আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি, ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া দিয়াগো ম্যারাডোনা, ৬০ বছর বয়সে গত নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল হৃদরোগ জনিতকারণে ম্যারাডোনার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর আগে মানসিক সমস্যার সাথেও নাকি লড়ছিলেন ভক্তদের নিকট ফুটবল ইশ্বর হিসেবে সমাদৃত ম্যারাডোনা। 



দিয়াগো ম্যারাডোনাকে তার চিকিৎসকরাই খুন করেছেন। এই কিংবদন্তির একান্ত নার্স দাহিনা গিসেলা এমন অভিযোগই করছেন। গিসেলা ও তাঁর আইনজীবী অভিযোগের তীর ছুঁড়ছেন চিকিৎসকদের দিকেই। দাহিনা গিসেলা মাদ্রিদের আইনজীবী রোডোলফ বাকে বলেন, "ম্যারাডোনা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেলেও, তাকে বাঁচানোর  ন্যূনতম চেষ্টা করে নাই তার চিকিৎসকরা।"



ম্যারাডোনাকে ইচ্ছাকৃতভাবে খুন করেছেন তার চিকিৎসকরা এমন অভিযোগ উঠেছিল চিকিৎসক এবং নার্সসহ সাতজনের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যেই একজন হলেন দাহিনা গিসেলা মাদ্রিদ। মাদ্রিদের দায়িত্ব ছিল দিনের সময়টায় ম্যারাডোনার দেখাশোনা করা। গণমাধ্যমে মাদ্রিদের আইনজীবী রোডোলফ বাকে বলেন, "চিকিৎসকরাই ম্যারাডোনাকে খুন করেছেন।" বাকের সুস্পষ্ট অভিযোগ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। বাকে বলেন, "ম্যারাডোনার মৃত্যুর জন্য তার মক্কেল দাহিনা গিসেলা কোনোভাবেই দায়ী নয়।" "ম্যারাডোনার হৃদরোগ চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে তাকে মানসিক রোগের ঔষধ দেওয়া হয়। যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ম্যারাডোনার হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। এর ফলেই ম্যারাডোনার মৃত্যু হয়," অভিযোগ মাদ্রিদের আইনজীবী রোডোলফ বাকের।



মাদ্রিদের আগে ম্যারাডোনার আরেক নার্স আলমিরনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিলো। তিনি বলেছিলেন, মানসিক রোগের কথাই জানানো হয়েছিলো তাকে, হৃদরোগের কথা তিনি জানতেন না।



মাদ্রিদের আগের বক্তব্য ছিলো, তিনি ম্যারাডোনাকে মৃত অবস্থায় দেখেন। বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন, পারেন নাই। পরে অবশ্য এ বক্তব্য থেকে সরে এসে বলেছেন, এমন বক্তব্য তিনি নার্সদের সমন্বয়কারী মারিওর নির্দেশে দিয়েছেন। আগামী কয়েকটা শুনানিতে তার ব্যক্তিগত সকল চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।