এদিকে, ২০১৯ সালে প্লে-স্টোর থেকে সর্বাধিক ডাউনলোড করা মোবাইল অনলাইন গেম এটি। ২০২০ সালের মে মাস পর্যন্ত ৮০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারীর সাথে যুক্ত থেকে রেকর্ড করে গেরিনা ফ্রি ফায়ার। সম্প্রতি বাংলাদেশে এর জনপ্রিয়তার মুখে বাংলাদেশ সার্ভার চালু করে ফ্রি ফায়ার কর্তৃপক্ষ। গেমটি অন্য খেলোয়াড়কে হত্যা করার জন্য অস্ত্রসহ নানা সরঞ্জামের সন্ধানে একটি দ্বীপে প্যারাসুট থেকে পড়ে আসা ৫০ জন ও তার অধিক খেলোয়াড়কে অন্তর্ভুক্ত করে। যারা একে অপরের বিরুদ্বে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে চেষ্টা করে। সবাইকে হত্যা করে শেষ পর্যন্ত যে বেঁচে থাকে তাকেই বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে গেরিনা।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের শহরতলী ছেড়ে গ্রামগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে ফ্রি ফায়ার, পাবজিসহ ইন্টারনেট ভিত্তিক গেমগুলোর জনপ্রিয়তা। কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগে শিক্ষার্থীরা আসক্ত হয়ে পড়েছে এই ভয়ানক সর্বগ্রাসী গেমে। অধিকাংশ অভিভাবকদেরই মত অনলাইন ক্লাসের নাম করে মেতে উঠছেন ফ্রি ফায়ার, পাবজিসহ নানারকম অনলাইনভিত্তিক গেমে।
মোবাইল প্রাপ্যতায় বাধা পড়লে নেতিবাচক আচরণ শুরু করে এর ব্যবহারকারীরা। এ যেন নতুন এক মাদক ছড়িয়ে পড়ছে বাংলার প্রতিটি অলিতে-গলিতে। যে মাদক নতুন প্রজন্মকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে শিক্ষার ইতিবাচকতা থেকে। এই গেমকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে কিশোরদের গ্যাং যারা সমাজকে নানাভাবে অস্থিতিশীল করে তুলছে। নৈতিকতাবর্জিত কোনো কাজ করতেও দ্বিধাবোধ করছেন না। এই গেম স্টোরির ভয়বহতার অনুসরণে তারাও হয়ে উঠছে ব্যাপক আগ্রাসী। এরকম চলতে থাকলে বিকৃত মানসিকতার একটি প্রজন্ম গড়ে উঠবে। এখনই কেনো পদক্ষেপ না গ্রহণ করলে তরুণ প্রজন্মকে বিপর্যয়ের মুখ থেকে বাঁচানো যাবে না।
0 Comments