টুখেলের ম্যাচ পরিকল্পনায় চেলসির ইউরোপ জয়


ছবিঃ টুইটার

ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট দ্বিতীয়বারের মতো চেলসির মাথায় উঠলো। আর এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ম্যাসন মাউন্ট। ম্যাসন মাউন্টের বাড়িয়ে দেওয়া বলের মাধ্যমেই কাই হাভার্টজের সেই ইউরোপ বিজয়ী গোল এলো ম্যাচের বয়স যখন ৪২ মিনিট। এর আগে ২০১২ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি ছুঁয়েছিল ব্লুজরা।



মৌসুমের শুরুতে চেলসি কাই হাভার্টজকে বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিয়ে নিয়ে আসেন, যা ক্লাবের ইতিহাসে রেকর্ড। তখন চেলসির সবচেয়ে বড় সমর্থকরাও ভাবতে পারেনি তার গোলের মাধ্যমেই ৯ বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের খরা কাটবে। ট্রফি জয়ের উন্মত্ততা এতটাই পেয়ে বসে চেলসিকে যার ফলশ্রুতিতে সম্পূর্ণ দলকে ঢেলে সাজান ক্লাব কর্তারা। হাভার্টজ, টিমো ভের্নারদের দলে টানার সাথে, সাফল্যের মূল নায়ক টমাস টুখেলকেও দলে ভিড়ানো হয় । টমাস টুখেলকে কোচ করে আনতেই বদলে গেল সবকিছু। যে কাই হাভার্টজ পুরো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একটাও গোল করেননি, তিনি রাতারাতি হয়ে গেলেন চেলসির ফাইনাল জয়ের নায়ক।



ম্যাসন মাউন্টের পাস থেকে ৪২ মিনিটে তিনি এগিয়ে দেন চেলসিকে। ওই একটি গোলই দুই দলের পার্থক্য গড়ে দিল। ম্যাচের পর সাক্ষাৎকার দিতে এসে অতি উত্তেজনায় খেই হারিয়ে ফেলেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড। বললেন, “জানি না কী বলব। অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছি। প্রায় ১৫ বছর ধরে এই মুহূর্তটা দেখব বলে অপেক্ষা করছি।” সাংবাদিক যখন মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি চেলসির সবচেয়ে দামি বেশি ট্রান্সফার ফি এর ফুটবলার, হাভার্টজের উত্তর, “আমার তাতে কোনও যায় আসে না। আমি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করছি। সেটাই সবকিছু।”



পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সিজার আজপিলিকুয়েতা। বললেন, “সে (হাভার্টজ) এই সম্মানের যোগ্য। তার মানসিকতা অসাধারণ। সে ভবিষ্যতের নায়ক হতে চলেছে। এখনই অবশ্য আমাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দিয়ে নায়ক হয়ে গিয়েছেন।”



অল ইংলিশ ফাইনালে সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা উৎসবে মেতে উঠেন পোর্তোর দ্রাগাও স্টেডিয়ামে টমাস টুখেল শিষ্যরা। এটি চেলসির দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা হলেও। টমাস টুখেলের প্রথম ইউরোপ জয়। গত মৌসুমে পিএসজিতে নেইমার-এমবাপ্পেদের দিয়ে যা করে দেখাতে পারেননি, তাই করে দেখালেন চেলসির ম্যাসন-হাভার্টজদের দিয়ে। সিটির হারের কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলার ভুল ট্যাকটিকসকে। টুমাস টুখেলের ম্যাচ পরিকল্পনার সাথেই পেরে উঠেনি বেশি সময় বল ধরে রাখা ম্যান সিটি।